বহুলভাবে আলোচিত, নির্বাচনি তারিখ পিছিয়ে নেয়া, নানা সমালোচনার পর শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচন। নগরবাসি মেয়র হিসেবে তাদের সমর্থন দিয়েছেন ফজলে নূর তাপস ও আতিকুল ইসলামের প্রতি। অচিরেই তারা দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন। তবে এবার ভোটারের সংখ্যা ছিল কম। আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী ফজলে নূর তাপস এবং একই দলের অপর প্রার্থী মো. আতিকুল ইসলামকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। ১ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা দক্ষিণের রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল বাতেন শিল্পকলা একাডেমি থেকে এবং রাত আড়াইটার পর ঢাকা উত্তরের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবুল কাসেম শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটরিয়াম থেকে পৃথকভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করেন। এর মধ্য দিয়ে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনেই আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা মেয়র হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করতে যাচ্ছেন।
ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী ঢাকা দক্ষিণের মোট ১,১৫০টি কেন্দ্রের মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস নৌকা প্রতীকে ৪ লাখ ২৪ হাজার ৫৯৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ইশরাক হোসেন ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ২ লাখ ৩৬ হাজার ৫১২ ভোট। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মোট ভোটার ২৪ লাখ ৫৩ হাজার ১৯৪জন। মাত্র ২৯.০০২ শতাংশ ভোট কাস্টিং হয় বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
অন্যদিকে ঢাকা উত্তরে নৌকা প্রতীক নিয়ে মো. আতিকুল ইসলাম পেয়েছেন ৪ লাখ ৪৭ হাজার ২১১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তাবিথ আউয়াল পেয়েছেন ২ লাখ ৬৪ হাজার ১৬১ ভোট। উত্তর সিটি করপোরেশনে ভোট প্রদানে হার দক্ষিণের থেকেও কম। মাত্র ২৫.৩০ শতাংশ ভোট কাস্ট হওয়ার তথ্য জানিয়েছে কমিশন। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মোট ভোটার ছিল ৩০ লাখ ১২ হাজার ৫০৯ জন। ওয়ার্ড সংখ্যা ৫৪, সংরক্ষিত ওয়ার্ড ১৮। ভোটের দিন সকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা বলেছিলেন, ‘যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন, ভোটার আনার বিষয়ে তাদের দায়িত্ব বেশি। এক্ষেত্রে আমাদের দায়িত্ব কম। আমাদের পরিপূর্ণ দায়িত্ব আমরা পালন করেছি।’ এদিকে অনিয়মের অভিযোগ এনে দুই সিটির নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করে রবিবার সকাল সন্ধ্যা ঢাকায় হরতাল ডেকেছে বিএনপি। এ হরতাল প্রতিহতের ঘোষণা তাৎক্ষণিকভাবে আসে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে।