বাবার কবরের পাশে বসে কোরআন তেলাওয়াত শেষে মোনাজাত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। টুঙ্গিপাড়া এলে প্রতিবারই তিনি বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধের পাশে বসে কোরআন তেলাওয়াত ও দোয়া করেন। দলীয় সভাপতি হিসেবে দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ ও উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের নিয়ে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন। পরে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের নিহত সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। এ সময় সশস্ত্র বাহিনী গার্ড অব অনার প্রদান করে। জুমার নামাজের পর আওয়ামী লীগের নবগঠিত কেন্দ্রীয় কমিটির যৌথসভা শুরু হয়। পরে তিনি এক বক্তব্যে বলেন, সাধারণ মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। ৭৫-এ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার ২১ বছর পর আমরা ক্ষমতায় এসে জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করছি। মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। শুক্রবার বিকালে টুঙ্গিপাড়ায় হোয়াইট হাউসে আওয়ামী লীগের যৌথসভার সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নতুন কার্যনির্বাহী সংসদ ও উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন। এর মাধ্যমে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সফর শুরু হল। যৌথসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের জন্য আমরা কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। আওয়ামী লীগের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানও উদ্যোগ নিয়েছে। মুজিববর্ষ ঘিরে মানুষের উৎসাহ যে বৃদ্ধি পাচ্ছে তা বোঝা যাচ্ছে। জাতির পিতার নাম আর কখনও কেউ মুছে ফেলতে পারবে না। কারণ জাতির পিতা সারা জীবন সংগ্রাম করেছেন, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করেছেন। এ দেশের শোষিত-বঞ্চিত মানুষের জন্য তিনি কাজ করেছেন। দলের প্রতিটা নেতাকর্মীকেই জাতির পিতার আদর্শ নিয়ে চলতে হবে। বাংলাদেশকে আমরা জাতির পিতার ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলব- এটিই আমাদের মূল লক্ষ্য।