চীনের রহস্যময় করোনা ভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করেছে। চীন ভ্রমণকারিদের জন্য বাংলাদেশের সব বিমান বন্দর এবং স্থল বন্দরে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। চীন থেকে আসা নাগরিক বা বাংলাদেশিদের ওপর নজর রাখা হচ্ছে। তাদের স্কেনিং এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ভাইরাসটি আক্রান্ত মানুষের মাধ্যমে we‡k^i বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ায় আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। চীনে মৃত্যুও সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৬ জন। আক্রান্তের সংখ্যা হাজারের বেশি। চীনের রহস্যময় করোনা ভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করেছে। চীনের বিভিন্ন শহরে বিরান ভূমির মতো হাহাকার চলছে। এছাড়া ভাইরাসটি প্রায় চার মহাদেশের অন্তত ৭টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। যা বিশ্বজুড়ে মানুষের মাঝে উদ্বেগ ও আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। চীনের এ ভাইরাস নিয়ে জরুরি বৈঠক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমিত এ ভাইরাসটি বিশ্বের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছে সংস্থাটি।
ভাইরাসটির প্রতিরোধে চীনের সবকটি প্রদেশে এই ভাইরাস দেখা দিয়েছে। সিলগালা করে দেয়া হয়েছে উহানসহ আরো শহর। গণপরিবহন, বাজার, গ্রেটওয়ালের মতো দর্শনিয় স্থান নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ১ কোটি ১০ লাখ নাগরিকের শহর উহানে সব গণপরিবহন চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। শহরের বাসিন্দাদেরও শহর ত্যাগে নিষেধ করা হয়েছে। উহানের পাশেই প্রায় ৭৫ লাখ অধিবাসীর শহর হুয়াংগ্যাংয়েও বাস ও ট্রেন যোগাযোগ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করা হয়েছে।
এ ভাইরাসের সংক্রমণে সাধারণ সর্দি, ঠান্ডা থেকে শুরু করে সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম (সার্স) পর্যন্ত হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভাইরাসটি মানুষ এবং পশু- উভয়ে ছড়াতে পারে।