জাতীয় সংসদে শীতকালিন অধিবেশনে দেয়া ভাষণে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, দেশে আইনের শাসন সুসংহত ও সমুন্নত রাখার ক্ষেত্রে সরকারের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) আরও শক্তিশালী করা হয়েছে। ৯ জানুয়ারি (বৃহস্প্রতিবার) জাতীয় সংসদে তাঁর ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। সংবিধান অনুযায়ী বছরের প্রথম অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি ভাষণ দিয়ে থাকেন। রাষ্ট্রপতি বলেন, সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে একাদশ জাতীয় সংসদ গঠিত হয়। বাংলাদেশের জনগণের বিপুল সমর্থনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠিত হয়।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা এবং যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার রায় কার্যকর করা হয়েছে। পলাতক আসামিদের দেশে ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ও হত্যা মামলা এবং বিডিআর হত্যাকান্ড মামলার বিচারকার্য সম্পন্ন হয়েছে। আদালত দোষীদের বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দিয়েছে। এছাড়া, হলি আর্টিজান হামলা মামলা, নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলাসহ বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার রায় দ্রুত প্রদান করা হয়েছে। দুর্নীতি, জুয়া, মাদক, জঙ্গিবাদ, উগ্রবাদ এবং সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধে সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে, যা বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হচ্ছে এবং জনজীবনে স্বস্তি বিরাজ করছে।
এ সময় সরকারের সব সেক্টরের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি বলেন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নতুন টার্মিনাল ভবন নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। যা আগামী ২০২৩ সালে চালু হবে। ২৮ ডিসেম্বর এ প্রকল্পের অধীনে নির্মিতব্য তৃতীয় টার্মিনাল ভবন নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। নতুন প্রজন্মের ১২টি সুপরিসর আধুনিক উড়োজাহাজ বাংলাদেশ বিমানের বহরে সংযোজন করা হয়েছে। সর্বশেষ সংযোজিত সর্বাধুনিক বোয়িং ৭৮৭ ড্যাশ ৯ ড্রিমলাইনার দুটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৮ ডিসেম্বর উদ্বোধন করেছেন।
তিনি বলেন, এ বছর আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং ২০২১ সালে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তি পালন করব। আমাদের দৃষ্টি ২০২১ সাল ছাড়িয়ে আরও সামনের দিকে।