আওয়ামী লীগ সরকারের টানা তৃতীয় মেয়াদের আজ ৭ জানুয়ারি, সরকারের বছর পূর্তির দিন। এ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন। আজকের বাংলাদেশ আত্মপ্রত্যয়ী এক বাংলাদেশ। বন্ধুর পথ পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশ আজ সব সূচকে অগ্রগতি, সাফল্য আর উন্নয়নের মহাসড়ক দিয়েই দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। স্বাধীনতার পর যারা বলেছিল- বাংলাদেশ হবে তলাবিহীন ঝুড়ি, আজ তারাসহ গোটা বিশ্বই বলছে- মাত্র এক দশকেই বাংলাদেশ উন্নয়নের বিস্ময়। গোটা বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল আজ বাংলাদেশ। অতীতের মতো সরকারের গত এক বছরেও দেশের রাজনীতিসহ সব কিছুর নিয়ন্ত্রণ ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে।
সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মান্ধতা, জঙ্গীবাদী দেশের কলঙ্ক ঘুচিয়ে বাংলাদেশ আজ পরিচয় পেয়েছে অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, শান্তির সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পতাকা উড়ছে আজ বাংলার ঘরে ঘরে। আর এই প্রায় অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পথ ধরেই তার কন্যা শেখ হাসিনা দেশকে নিয়ে যাচ্ছেন উন্নয়নের মহাসোপানে।
নানা ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের জাল ছিন্ন করেই সব সূচকে অগ্রগতি, সাফল্য ও উন্নয়নের পায়রা উড়িয়েই আজ মঙ্গলবার টানা তৃতীয় মেয়াদের ক্ষমতার প্রথম বছর পূর্ণ করে দ্বিতীয় বছরে পদার্পণ করছে ভূমিধস বিজয় নিয়ে ক্ষমতায় থাকা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার। ৩০ ডিসেম্বর রেকর্ডসংখ্যক রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় নির্বাচনে তিন-চতুর্থাংশ আসনে বিজয়ী হওয়ার পর ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি তারুণ্য নির্ভর চমকের সরকার গঠন করেছিলেন টানা তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে বছরব্যাপী ঘোষিত মুজিববর্ষ শুরুর প্রাক্কালে আজ সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় জাতির উদ্দেশে প্রদত্ত ভাষণে তার সরকারের প্রথম বছর সাফল্যেও কথা তুলে ধরবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। দেশকে বদলে দেয়ার চিত্র এবং আগামী চার বছরে দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের পরিকল্পনার কথা দেশবাসীর সামনে তুলে ধরবেন বলে দেশবাসি আশা করছেন।