শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০২:৫৪ পূর্বাহ্ন

শীতে কাঁপছে শেরপুরের গারোপাহাড়ী জনপদের মানুষ

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৯
  • ২০ Time View

পৌষ মাসের শুরু হতেই শীতে কাঁপছে দেশের উত্তরাঞ্চলের ভারত সীমান্তবর্তী শেরপুরের গারো পাহাড়ী জনপদের শেরপুরসহ নালিতাবাড়ীর মানুষ।

শীতের সাথে পাল্লা দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে শৈত্য প্রবাহ। দরিদ্র সীমার নিচে বসবাসকারী এখানকার অধিকাংশ অধিবাসীরা প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্রের অভাবে অতিকষ্টে রয়েছেন। বিশেষ করে পাহাড়ের অভ্যন্তরে ও পাদদেশে বসবাসকারী মুসলিম সমপ্রদায়সহ আদিবাসী তথা উপজাতি গরো-কোচ সমপ্রদায়ের মানুষের শীতের কারণে তাদের কষ্ট বাড়ছে। কনকনে ঠান্ডা হিমবায়ুর কারণে কাবু হচ্ছে মানুষ। এ থেকে বাদ পড়ছেনা গবাদি পশুও। একই সাথে প্রচন্ড শীতে শিশু, বৃদ্ধসহ নানা বয়সীর মানুষ ও অসুস্থ হয়ে পড়ছে।

গত এক সপ্তহের অধিক দিন ধরে শেরপুর সীমান্তের নালিতাবাড়ী উপজেলার সমেশ্চুড়া, মধুটিলা, বুরুঙ্গা, খলচান্দা, বারোমারী, কালাপানি, দাওধারা, কাটাবাড়ি, হাতিপাগার, নাকুগাঁও, কালাকুমা, তারানী, পানিহাটা ও মায়াঘাসী এসব পাহাড়ী পল্লী গুলোতে চলছে কনকনে শীতের মহড়া। উত্তরে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের হিমালয় পর্বতের হিমবায়ু আর ঘন কুয়াশায় চাদরে জেঁকে বসেছে প্রচন্ড শীত। এখানকার খেটে খাওয়া ছিন্নমুল মানুষ গুলো প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্রের অভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছেন।

নালিতাবাড়ী উপজেলার গারো আদিবাসী মি. লুইস নেংমিনজা (৪৮) জানান, দিন দিন শীত বাড়ছে। প্রচন্ড শীতের কারণে সীমান্ত এলাকার গারো আদিবাসীরা শীতে আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। প্রতিবছর এভাবেই শীতের সঙ্গে লড়াই করে তাদের বেঁচে থাকতে হয়। এতে পাহাড়ি এলাকার মানুষের জীবনযাত্রা হয়ে পড়ে বিপর্যস্ত। এসব অঞ্চলের শীতার্ত মানুষ পাহাড় থেকে লাকড়ি ও খরকুটা সংগ্রহ করে তা জ্বালিয়ে আগুন দিয়ে শরীর ছেঁকে শীত নিবারণের চেষ্টা করেন।

আন্ধারুপাড়া গ্রামের শিক্ষক ছামাদুল হক (৪৬) বলেন, ভিতর এলাকার চেয়ে সীমান্তবর্তী পাহাড়ি এলাকায় শীত পড়ে বেশি। সেই হিসেবে গরীব মুসলিমসহ অন্যান্য আদিবাসীরা সরকারিভাবে তেমন কোন শীতবস্র পায় না।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2023 Jagoroni TV
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com