বিজেপি সরকারের করা নাগরিকত্ব আইনের ফলে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্ষোভ, সংঘর্ষ, হত্যাকান্ডের মতো ঘটনা ঘটছে। মুসলমানরা পরিবার নিয়ে আশপাশের দেশে শরণার্থী হবার ঝুঁকিতে। গতকাল বুধবার ভারতের সুপ্রিম কোর্ট সংক্ষিপ্ত শুনানির পর আইনটির কার্যকারিতা স্থগিত না করে তা আগামী মাসে শুনানির দিন ধার্য করায় সাধারণ মানুষ বিক্ষোব্ধ হয়ে উঠে বলে সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যায়। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী জেনিভায় আন্তর্জাতিক এক সম্মেলনে শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, পারমাণবিক শক্তিধর দুই দেশের মধ্যে শরণার্থী নিয়ে যুদ্ধ বেধে যেতে পারে। ভয়াবহতার আগেই বিশ্ব সম্প্রদায়েরর এগিয়ে আসা প্রয়োজন বলে পাক প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, বিরোধীরা মুসলিমদের মনে ভিতি তৈরি করছে।
নরেন্দ্র মোদী সরকারের নীতির কারণে দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন করে ব্যাপক শরণার্থী সঙ্কটের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সুইজারল্যান্ডের জেনিভায় শরণার্থী বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে এক ভাষণে তিনি বলেন, নতুন বৈষম্যমূলক নাগরিকত্ব আইন এবং কাশ্মীর পরিস্থিতির ফলে লাখ লাখ মুসলিম ভারত থেকে পালাতে পারে। এ খবর দিয়েছে বিবিসি বাংলা। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হুঁশিয়ার করে বলেন, বড় ধরণের শরণার্থী সঙ্কট তৈরি হলে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে যুদ্ধ লেগে যেতে পারে।
ইমরান খান বলেন, শুধু সম্ভাব্য শরণার্থী সঙ্কট নিয়েই যে আমরা উদ্বিগ্ন তা নয়, একই সঙ্গে আমরা উদ্বিগ্ন যে, এ নিয়ে দুই পারমাণবিক অস্ত্রধর দেশের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়ে যতে পারে। তিনি বলেন, পাকিস্তানের পক্ষে নতুন করে আর শরণার্থীদের জায়গা দেয়া সম্ভব নয়। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এখনই এদিকে নজর দেয়া উচিৎ। তিনি আরও বলেন, অতীতের অভিজ্ঞতা বলে, অসুখের চিকিৎসার চেয়ে, অসুখ যাতে না হয় সেটা করারই শ্রেয়। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এখনই ভারতের ওপর চাপ প্রয়োগ করলে হয়তো এই সঙ্কট এড়ানো সম্ভব হতে পারে। জেনেভায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী যখন এসব বক্তব্য দিচ্ছিলেন, তখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নাগরিকত্ব আইন নিয়ে ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভের জন্য কংগ্রেসসহ অন্যান্য বিরোধীদের দায়ি করছেন। তিনি বলেন, বিরোধীরাই ভারতের মুসলিমদের মনে ভীতির সঞ্চার করছে।