হিমালয়ের চারদিক দিয়ে অক্টোপাসের মতো ধেয়ে আসছে শীতের সাঁড়াশী আক্রমন। পারদ নিম্নমুখী হওয়ায় রীতিমত শৈত্যপ্রবাহ দিনদিন বেড়েই চলছে, আর থরথরে কাঁপছে উত্তরের মানুষজন। শীতের এই সমাগ্রীক দাপটে আকাশ মেঘাছন্ন হয়ে যাওয়ায় উত্তরী হাওয়ার অবাধ গতিতে মানুষের শরীরে হাড় কাঁপানো কাঁপুনী ধরেছে। গত পাঁচ দিন ধরে সূর্য়ের দেখা মেলেনি এ জেলায়। উত্তরবঙ্গে শীতের দাপট বরাবরই বেশী থাকে। তার ব্যাতিক্রম এবারো ঘটেনি, তবে এবারের গত কয়েক দিনের শীত গত কয়েক বৎসরের তুলনায় অনেক বেশি। বিশেষ করে হিমালয় পর্বত ঘেষা নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার মানুষজন হাড়কাঁপানো ঠান্ডায় থরথরে কাঁপছে। সংশিষ্ট সুত্র মতে, শীতবস্ত্র বিতরনে সরকারি ভাবে শীতবস্ত্র বিতরন করা হয়েছে ৬ হাজার ২শ কম্বল| সরকারের ত্রান ভান্ডার থেকে নীলফামারী জেলায় কম্বলপাঠানো হলেও তা প্রয়োজনের চেয়ে অপ্রতুল। মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গের সর্বনিম্ন তাপমাত্র রেকর্ড করে আবহাওয়া অফিস জানায়, নীলফামারীর ডিমলায় তাপমাত্রা ১০.৮ডিগ্রী সেলসিয়াস। তবে আবহাওয়া অফিসের দেয়া তথ্যের চেয়েও আরো কম বলে মনে করছেন, নীলফামারীর হিমালয় ঘেষা ডিমলা উপজেলার সাধারণ মানুষজন। তাদের মতে, উপজেলায় তাপমাত্রা সর্বনিম্ন ৭ ডিগ্রী সেঃ ছিল। সূত্রমতে, শীতের দাপটে সকাল হতে বিকাল পয্যন্ত শুরু হয়ে যায় শীত মহাকরণ আর রাত্রিতেতো আছেই। গত পাঁচ দিন ধরে শীতের এমন আক্রমনে একটু উষ্ণতার জন্য উত্তরের গরিব অসহায় মানুষজনের খড়কুটু জ্বালিয়ে আগুনের পরশমনি ছিল একমাত্র ভরসা। ডিমলার তিস্তাসহ বিভিন্ন নদীর চর এলাকায় স্বরে-জমিনে গিয়ে দেখা যায়, আগুনের কুন্ডলী জ্বালিয়ে শীত নিবারন করার চেষ্টা করছে অসহায় পরিবারগুলো। সব থেকে বেশী বিপাকে পড়েছে সহায় সম্বলহীন হতদরিদ্র পরিবারগুলো। শীতের পুরানো গরম কাপড়ের দোকানে শুরু হয়েছে উপচে পড়া ভিড়। ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ সারোয়ার আলম বলেন, গত কয়েকদিনে শীতজনিত রোগ নিউমোনিয়া, হাঁপানী, ক্লোড ডাইরিয়া, কাশিতে আক্রান্ত হয়ে বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক মানুষজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।