গাজীপুরের টঙ্গীতে তুরাগ তীরে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা প্রায় পাঁচ শতাধিক দোকানপাট ও একটি প্যাকেজিং কারখানার অংশ বিশেষ গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত।
সোমবার সকাল থেকে গাজীপুর জেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড যৌথভাবে এই উচ্ছেদ অভিযানের কার্যক্রম শুরু করেন। অভিযানে ভ্রাম্যমান আদালতের নেতৃত্ব দেন টঙ্গী রাজস্ব সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) এ.কে.এম গোলাম মোর্শেদ খান।
এসময় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো: সাজ্জাদ হোসেন, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো: হুমায়ূন কবির, মো: মোস্তাফিজুর রহমান, কার্যসহকারী সুদর্শন দাস, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো: সাজ্জাদ হোসেন জানান, ৬৪ জেলায় নদ-নদী, খালসহ অন্যান্য সরকারী জলাধার তীরবর্তী অবৈধ স্থাপনা/দখলদারদের তালিকা অনুযায়ী উচ্ছেদ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। সোমবার
টঙ্গী বাজার (নদী বন্দর) এলাকা থেকে তুরাগের কামারপাড়া পর্যন্ত অবৈধভাবে গড়ে উঠা পাঁচ শতাধিক দোকানপাট উচ্ছেদ করা হয়েছে।
কামারপাড়া এলাকার বাসিন্দারা জানান, কতিপয় প্রভাবশালী মহল তিন যুগেরও বেশি সময় ধরে নদীর পশ্চিমপাড় অবৈধভাবে দখল করে বসতঘর এবং দোকান ঘর নির্মাণ করে ভাড়া আদায় করে আসছে। বিভিন্ন সময় উচ্ছেদ অভিযান হলেও কামারপাড়ার এই কয়েক শতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়নি। এই উচ্ছেদ অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছেন এলাকাবাসি।
টঙ্গী রাজস্ব সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) এ.কে.এম গোলাম মোর্শেদ খান জানান, টঙ্গীর পাগাড় এলাকায় তুরাগ নদের তীরে অবৈধভাবে গড়ে উঠা দি মার্চেন্ট লিমিটেড নামে একটি প্যাকেজিং কারখানা কর্তৃপক্ষ স্থাপনা নির্মাণ করেছে।