জামালপুরের সিনিয়র সাংবাদিক শেলু আকন্দের উপর নৃশংস হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার আরো এক আসামীকে গ্রেফতার করেছেন পুলিশ। গত ২৩ ডিসেম্বর সোমবার ভোরে জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামি তুষার খান(৩৫) পৌর শহরের দেওয়ানপাড়া এলাকার মৃত রসুল মাহমুদ খানের ছেলে এবং মামলার ১ নং আসামী। এর আগে পুলিশ মামলার অন্যতম আসামি পৌর কাউন্সিলর রুনু খানের ছেলে জেলা ছাত্র লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রাকিব খানকে গ্রেফতার করেন। এ
জামালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ সালেমুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সাংবাদিক শেলু আকন্দের উপর নৃশংস হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার ৬আসামীর মধ্যে ১ নং আসামি তুষার খান(৩৫)সহ মোট দু’জনকে গ্রেফতার করে আদালতে শোপর্দ করা হয়েছে। বাকীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান। উল্লেখ্য জামালপুর সদর সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে একটি প্রতারক চক্র ভূয়া জাল কাগজপত্র দিয়ে দলিল সম্পাদন করতে গেলে সদর সাব-রেজিষ্ট্রার দলিলটি জব্দ করেন। সেই ঘটনার দৈনিক কালেরকন্ঠ পত্রিকার জামালপুর জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক মোস্তফা মঞ্জুর তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে তার উপর ওই প্রতারক চক্রটি হামলা করে বেধড়ক পিটুনী দেয়। ওই ঘটনায় সাংবাদিক মোস্তফা মঞ্জুর বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার ২ নম্বার স্বাক্ষী ছিলেন সাংবাদিক শেলু আকন্দ। মামলার স্বাক্ষী হওয়ার কারনেই ক্ষিপ্ত হয়ে গত ১৮ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১০টায় এসডিও বাংলো, বর্তমানে জামারপুর সদর ভুমি অফিসের পিছনে পৌর কাউন্সিলর সন্ত্রাসী রুনু খানের নেতৃত্বে তার ছেলে ছাত্রলীগ নেতা রাকিব খানসহ একদল সন্ত্রাসীরা সাংবাদিক শেলু আকন্দের দুটি পা ভেঙ্গে চিরদিনের জন্য পঙ্গু করে রাস্তায় ফেলে রাখে। বর্তমানে তিনি ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। চিকিৎসকরা তার দুই পা কেটে ফেলার আশঙ্কা করছেন। এ ঘটনায় সাংবাদিক শেলু আকন্দের বড় ভাই দেলোয়ার হোসেন আকন্দ বাদী হয়ে জামালপুর সদর থানায় ৬ জনকে আসামি করে অজ্ঞাত আরো ৪-৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।